ভ্যাকসিন ট্রায়ালের পর কেমন শারীরিক অবস্থা? জানালেন স্বেচ্ছাসেবকরা

করোনা-মুক্ত হওয়ার কতদিন পর টিকা নেওয়া উচিত? এবং কেন?

করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারে ৯০ শতাংশ সফল হয়েছে বলে দাবি করেছিল ফাইজার। তৃতীয় দফার ট্রায়াল শেষ হলেই বাজারে ভ্যাকসিন আসবে বলে দাবি সংস্থার। এই সাহায্য করেছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। টিকা নেওয়ার পর শারীরিক অবস্থা কেমন হয় এবার তা জানালেন স্বেচ্ছাসেবকরা।

স্বেচ্ছাসেবকদের একাংশের বক্তব্য, টিকা নেওয়ার পর হ্যাংওভার ছিল। অনেকের মাথা ব্যথা এবং জ্বর এসেছিল। কেউ কেউ আবার শরীরের একাধিক পেশিতে ব্যথা অনুভব করেছেন। গ্লেন ডেশিল্ডস নামে এক স্বেচ্ছাসেবক জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর হ্যাংওভার ছিল। ফ্লু হওয়ার পর যে যে সমস্যা হয় ঠিক তাই হয়েছিল। তবে প্রথম দফার পর এই সমস্যা হয়নি। দ্বিতীয়বার ট্রায়ালে জ্বর, মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা ছিল খুব বেশি।

ফাইজারের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, ছটি দেশের মোট ৪৩ হাজার ৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবক এই ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন। তবে এই ট্রায়াল হয়েছিল ডাবল ব্লাইন্ড। যার অর্থ স্বেচ্ছাসেবকদের বলা হয়নি তাঁদের টিকা দেওয়া হয়েছে কি না। আসলে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল ট্রায়ালে অংশ নেওয়া অর্ধেক স্বেচ্ছাসেবককে। কিন্তু কেন এই প্রক্রিয়া? বিজ্ঞনীরা জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে কী কী সমস্যা হচ্ছে তা বোঝার জন্যই এইভাবে বেছে স্বেচ্ছাসেবকদের বেছে নেওয়া হলো। তবে তৃতীয় ট্রায়াল সফল হলেও এটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এই ভ্যাকসিন -৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হবে। যার জন্য রেফ্রিজেরেটেড কন্টেনার-এর প্রয়োজন পড়বে।

আরও পড়ুন:দেশের দেড় হাজার বিজ্ঞানীর নাম বিশ্ব সেরার তালিকায়

Previous article‘কিছু স্মৃতি ভোলা যায় না, শুধু দুঃখ বাড়ায়’
Next articleএতক্ষণে সেই আড্ডা হয়তো শুরু হয়ে গিয়েছে, কণাদ দাশগুপ্তর কলম