ই-রিকশর চাকায় ওড়না আটকে ধড় থেকে ছিন্ন মুণ্ড

আবারও ওড়নাই হয়ে উঠল মৃত্যু ফাঁদ। অসাবধানতার জেরে প্রাণ গেল বছর পঞ্চাশের প্রৌঢ়ার। ঘটনা বাঁশদ্রোনীর ব্রহ্মপুরের।

জানা গিয়েছে, ব্রহ্মপুর বাদামতলার সম্প্রীতি আবাসনের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের সবিতা মিস্ত্রি। এদিন বিকেলে ই-রিকশয় চেপে স্বামী ও বোনের সঙ্গে বাজারে যাচ্ছিলেন সবিতা। স্বামী পেশায় রঙ মিস্ত্রি নিরঞ্জন মিস্ত্রি। হঠাৎই সবিতা মিস্ত্রির চুড়িদারের ওড়না ই-রিকশর চাকাতে জড়িয়ে যায়। প্রথমে তিনি খেয়াল করেননি। ই-রিকশ তখন জোরেই চলছিল। এক সময় ওড়নাটি ফাঁস হয়ে ওই মহিলার গলায় আটকে যায়। এতে টাল সামলাতে না পেরে রিকশ থেকে নীচে পড়ে যান ওই মহিলা। কিন্তু রিকশ তখনও চলতেই থাকে। এভাবেই অনেকটা রাস্তা ওই মহিলাকে কার্যত টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় রিকশটি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তাঁদের চিত্কারেই বিষয়টি নজরে পড়ে সবিতা মিস্ত্রির স্বামী ও চালকের। ততক্ষণে সবটাই শেষ হয়ে গিয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই মহিলাকে। মুণ্ড ধড় থেকে কার্যত আলাদা হয়ে গিয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই মহিলাকে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। তারা রিকশচালক, মহিলার স্বামী ও বোনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশের কাছে তাঁরা জানিয়েছেন, সবার চোখের সামনে এক পলকে এই দুর্ঘটনা ঘটলেও কেউ কিছু করে উঠতে পারেননি। মহিলার ওড়নাটি সিনথেটিক হওয়ায় এক্ষেত্রে তা মৃত্যু নিশ্চিত করেছে বলে পুলিসের আনুমান। রবিবার তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হবে। শনিবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে পুলিশ রিকশটিকে আটক করেছে। অভিযোগ না থাকায় চালককে গ্রেফতার করা হয়নি।

আরও পড়ুন-আর এজেন্সি নয়, সরাসরি নবান্ন থেকে বেতন পাবেন রাজ্যের ঠিকা কর্মীরা

Previous articleনিখিল ও নুসরতের সংসারে ধুন্ধুমার কান্ড, হঠাৎ কি এমন হল?
Next articleঅতৃপ্তি থেকেই দল বদল করছেন অনেকে, দাবি ফিরহাদের