মমতাকে সর্বাত্মক আক্রমণ করেই নজর কাড়তে চান শুভেন্দু

মুকুল রায় ( mukul roy) যেটা পারেননি, শুভেন্দু অধিকারী ( shuvendu adhikari) সেটা করার চেষ্টা করে এখনও পর্যন্ত বিজেপিতে ( bjp) ভালো নজর কেড়েছেন। এখন মুখ্যমন্ত্রীকে ( chief minister) সর্বাত্মক আক্রমণ করেই নিজে শিরোনামে থাকতে চান শুভেন্দু।

শুভেন্দু খোদ মমতাকে আক্রমণ করায় তৃণমূল থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া আসছে। এতদিন এত পদে থাকার পর রাতারাতি এই আক্রমণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু ঘটনা হল বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীকরণে মুকুলসহ বাকিদের পিছনে ফেলে নজরে থাকছেন শুভেন্দু। যোগদানপর্ব থেকে ভাষণ, মুকুলকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি। এমনকি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও ( dilip ghosh) নিজের উপর আলো ধরে রাখতে বিবৃতির জোর বাড়াতে হয়েছে। বিজেপি কর্মীদের কাছে দ্রুত গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছেন শুভেন্দু। সূত্রের খবর তিনি দিল্লির নেতাদের বলেছেন, এখন কোনো পদ চান না। তবে নিরাপত্তাসহ সর্বত্র প্রচারের সুযোগ চান।
শুভেন্দু কৌশলে লড়াইয়ের অভিমুখে একাধিক মাত্রা দিতে চাইছেন। কখনও সরাসরি নেত্রীকে আক্রমণ। কখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ( avishek banerjee) আক্রমণ। কখনও বলছেন গ্রাম বনাম কলকাতা। কখনও বলছেন গ্রাম বনাম কলকাতার তিনচারজন নেতা। ইতিমধ্যেই সৌগত রায় এবং ফিরহাদ হাকিমকে লক্ষ্য করে কামান দেগেছেন তিনি। সূত্রের খবর, এখন থেকেই আক্রমণ চড়া সুরে রাখতে চান শুভেন্দু। বিজেপি এখন তাঁকে জেলায় জেলায় ঘোরাবে।

শুভেন্দু জানেন তাঁকে ” বিশ্বাসঘাতক” বিশেষণ দিয়ে আক্রমণে যাচ্ছে তৃণমূল। ফলে শুভেন্দুও তৃণমূলের দলের বা নেতাদের কিছু বৈপরীত্যমূলক অবস্থানকে সামনে তুলে আনছেন।

রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, এত আগে থেকে এই চড়া সুর তুললে তা ধরে রাখা কঠিন। বিশেষত শুভেন্দুর প্রতি একাংশের তৃণমূলকর্মীর যে দুর্বলতা ছিল, তাঁর বিজেপি যোগদানে তা নষ্ট হয়েছে। বরং তিনি আলাদা দল করলে কৌশলগত বহু দরজা খোলা থাকত। অবশ্য নির্দিষ্ট কিছু কারণে বিজেপি যোগদান ছাড়া শুভেন্দুর উপায় ছিল না। এখন চড়া আক্রমণকেই রক্ষণের সেরা হাতিয়ার হিসেবে ধরে নিচ্ছেন শুভেন্দু। আপাতত তিনি খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে দলে ও সংবাদমাধ্যমে নিজের জায়গাটা বাড়িয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। এর নেতিবাচক দিকও আছে। শুভেন্দুশিবির বলছে সেসব দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:কৃষকদের বোঝাতে গিয়ে ফের বাংলাকেই আক্রমণের লক্ষ্য বানালেন মোদি

Previous articleচালসায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা, অভিযোগের তির বিজেপির দিকে
Next articleতৃণমূল বুঝবে না, কোথাও একশ আসন চলে যাবে, বললেন দিলীপ