পেগাসাস: নজরদারি চলছিল শীর্ষ আদালতের রেজিস্ট্রার ও প্রাক্তন বিচারপতির উপরেও

পেগাসাস(Pegasus) ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়ে উঠেছে জাতীয় রাজনীতি। দেশের প্রায় ৩০০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির ওপর নজরদারির অভিযোগ উঠেছে ইজরায়েলি সফটওয়্যার পেগাসাসকে হাতিয়ার করে। এই তালিকায় বাদ ছিলেন না সুপ্রিমকোর্টের(Supreme Court) রেজিস্ট্রার ও প্রাক্তন বিচারপতিও(ex justice)। সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়ার’।

‘দ্য ওয়ার’-এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী শীর্ষ আদালতের ২ রেজিস্টার এনকে গান্ধী ও টিআই রাজপুত-এর ওপর নজরদারি চালানো হয়েছিল পেগাসাসকে হাতিয়ার করে। শুধু তাই নয়, গত বছর অবসর নেওয়া সুপ্রিম বিচারপতি অরুণ মিশ্রর ফোনের ওপরেও নজরদারি চালানো হয় ২০১৯ সালে। নজরদারি চালানো হয়েছিল বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট আইনজীবী উপরেও। যদিও এই সকল নজরদারির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে ইতিমধ্যেই উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি সরকার। তবে বিজেপির তরফে বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া হলেও বেআইনিভাবে এহেন নজরদারি যে মোটেই ছোট বিষয় নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই এনএসও-এর তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকার ছাড়া এই সফটওয়্যার কাউকেই বিক্রি করা হয় না। ফলস্বরূপ অভিযোগের আঙুল সরাসরি উঠছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দিকে।

আরও পড়ুন:ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র আছে? বাসে উঠতে আবশ্যক বাংলাদেশে!

এদিকে চলতি বাদল অধিবেশনে বিরোধীদের তরফে বার বার পেগাসাস ইস্যুতে আলোচনার দাবী জানানো হলেও, সরকার আলোচনার পথে হাঁটতে একেবারেই রাজি হয়নি। নাছোড় বিরোধীরাও। যার জেরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা প্রতিদিন ব্যাহত হয়েছে সংসদ অধিবেশন। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এলো সুপ্রিম বিচারপতিদের ফোনে নজরদারি চালানোর মতো গুরুতর অভিযোগ।

 

Previous articleভ্যাকসিনের ছাড়পত্র আছে? বাসে উঠতে আবশ্যক বাংলাদেশে!
Next articleঅভিষেকের কেন্দ্রে রেকর্ড ভ্যাকসিনেশন, আপ্লুত বাসিন্দারা