জিতেন্দ্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উপনির্বাচনে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ আসানসোল আদি বিজেপির! তারপর ধুন্ধুমার

নির্বাচনের জন্য যে টাকা এসেছিল, তা কাকে দেওয়া হয়েছে? টাকাগুলো নেতৃত্ব ঠিকভাবে খরচ করেছে, না পকেটে পুরেছে?

নিজেদের চরম ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা রেখে রাজ্যে সদ্যসমাপ্ত দুটি উপনির্বাচনে শাসক দল তৃণমূলের কাছে গোহারা হেরেছে বিজেপি। প্রধান বিরোধী দল হয়েও বালিগঞ্জ বিধানসভায় শুধু তৃতীয় হওয়া নয়, জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিজেপি প্রার্থীর। আর আসানসোল লোকসভায় রেকর্ড মার্জিনে হেরে মুখে কার্যত চুনকালি মাখতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরের নেতা-নেত্রীদের।

আর তার জেরেই গোষ্ঠীকোন্দল চরমে। জেলা বিজেপি কার্যালয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে তুমুল বচসা থেকে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন। নির্বাচনের জন্য টাকা সঠিকভাবে বণ্টন হয়নি, এমন দাবি তুলে জেলা নেতৃত্বের কাছে রীতিমতো কৈফিয়ত চাইলেন স্থানীয় নেতারা।

নির্বাচনের জন্য যে টাকা এসেছিল, তা কাকে দেওয়া হয়েছে? টাকাগুলো নেতৃত্ব ঠিকভাবে খরচ করেছে, না পকেটে পুরেছে? একইসঙ্গে তাঁরা দাবি তুললেন, জেলা নেতৃত্ব থেকে অবিলম্বে তাড়ানো হোক ধান্দাবাজ বহিরাগতদের। নব্য দুর্নীতিবাজ নেতাদের সরিয়ে ফের সম্মানের সঙ্গে দায়িত্বে আনা হোক দলের পুরনো নিষ্ঠাবান নেতা-কর্মীদের।

বিক্ষুব্ধদের স্পষ্ট ইঙ্গিত দলবদলু জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর অনুগামীদের দিকে। যাঁরা আসানসোল সহ গোটা জেলার বিজেপিকে কার্যত কুক্ষিগত করেছেন। আদি বিজেপির অভিযোগ, একটা সময় বিজেপি কর্মীদের নানাভাবে হেনস্থা করতেন, এমনকী ধর্ষণের মামলাতেও ফাঁসিয়েছেন এই জিতেন তিওয়ারি। আর সেই লোকটাই এখন বিজেপির নেতাগিরি করে দলকে ডোবাচ্ছেন।

আরও পড়ুন- সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বায়োপিক নিয়ে বিতর্ক, তথ্য বিকৃতির অভিযোগ

Previous articleসৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বায়োপিক নিয়ে বিতর্ক, তথ্য বিকৃতির অভিযোগ
Next articleকর্নাটকে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের পাশে বাংলার সরকার