সতেন্দ্রর স্ত্রীর সঙ্গে অতিরিক্ত মেলামেশা-ই কাল হল অতনুর? উঠে আসছে ত্রিকোণ সম্পর্কের তত্ত্ব

বাগুইআটিতেই অতনুদের পাড়াতে সত্যেন্দ্র চৌধুরীর শ্বশুর বাড়ি। প্রতিবেশি হওয়ার সুবাদে সত্যেন্দ্রর স্ত্রীর সঙ্গে অতনুর অনেকদিনের পরিচয়

দশম শ্রেণির দুই পড়ুয়াকে একেবারে ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে হত্যা। অপহরণ ও মুক্তপনের নাটকের পর নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ড। বাগুইআটির দুই কিশোরের দেহ শনাক্তের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, কেন এই খুন? এইসব জল্পনা-কল্পনার মাঝেই উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অবৈধ সম্পর্ক ও ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব পেয়েছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত তেমন ইঙ্গিত খুব হালকা। নিহত অতনুর সঙ্গে জোড়া হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর স্ত্রী পূজার মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল বলেই মনে করছে অনেকে। এমনকী, এই ঘটনার বিষয়টি জানতো সত্যেন্দ্র নিজেও। সেই আক্রোশ থেকে খুন নয় তো?

বাগুইআটিতেই অতনুদের পাড়াতে সত্যেন্দ্র চৌধুরীর শ্বশুর বাড়ি। প্রতিবেশি হওয়ার সুবাদে সত্যেন্দ্রর স্ত্রীর সঙ্গে অতনুর অনেকদিনের পরিচয়। সত্যেন্দ্রর স্ত্রী পূজাকে দিদি বলে ডাকত অতনু। পূজার বাপের বাড়িতেও নিয়মিত যাতায়াত ছিল অতনুর। দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক হলেও এই দুজনের ঘনিষ্ঠ মেলামেশা ভালোভাবে নিতো না সত্যেন্দ্র। ক্রমশ অভিযুক্তের চোখে ঘৃণার পাত্র হয়ে ওঠে অতনু। বাড়তে থাকে ক্ষোভ। তারই প্রতিহিংসার জন্য এই খুন কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অতনু ও পূজার বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। প্রতিবেশিদের থেকেও তাঁরা খোঁজ-খবর নিচ্ছে। অতনু ও পূজার মধ্যে আদৌ অবৈধ সম্পর্ক বা গোটা ঘটনায় ত্রিকোণ প্রেমের ব্যাপারে ছিল কিনা, সেটা সত্যেন্দ্র বা তার স্ত্রীকে জেরা না করা পর্যন্ত এ বিষয়েও নিশ্চিত হতে পারবে না তদন্তকারীরা। দুজনেই এখন ফেরার।

তবে পুলিশ নিশ্চিত যে, সত্যেন্দ্রর টার্গের ছিল অতনু। তাঁর পিসতুতো ভাই অভিষেক নস্কর শুধুমাত্র পরিস্থিতির শিকার। সেদিন অভিষেক যদি অতনুর সঙ্গে না থাকতো, তাহলে হয়তো তার এমন নির্মম পরিস্থিতি হতো না।

আরও পড়ুন- প্রাথমিকে নিয়োগে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জের আশঙ্কায় সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল মামলাকারীর

জানা গিয়েছে, অনেক আগেই খুন হয়ে যেতে পারতো অতনু। তাকে খুনের ছক অনেক আগেই কষেছিল সত্যেন্দ্র। সে যাত্রায় এক বন্ধুর বুদ্ধির জোরে বেঁচে গিয়েছিল অতনু। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। সত্যেন্দ্র ফের যে অতনুকে খুনের সুযোগ খুঁজবে সেটা এখন আরও স্পষ্ট। কারণ, অপহরণের আগে নিজের স্ত্রী পূজাকে বাগুইআটি থেকে অন্যত্র সরিয়ে দেয় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র।

 

 

Previous articleপ্রাথমিকে নিয়োগে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জের আশঙ্কায় সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল মামলাকারীর
Next articleআর্জির প্রতিলিপি পাননি মামলাকারীরা, পিছোল DA মামলার শুনানি