প্রথম বক্তা রাহুলই, মঙ্গলে মণিপুর ইস্যুতে অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনা সংসদে

মণিপুর(Manipur) ইস্যুতে লোকসভায়(Loksava) কৌশলে মোদিকে বিবৃতি দিতে বাধ্য করতেই বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের তরফে আনা হয়েছে অনাস্থা প্রস্তাব। মঙ্গলবার থেকে সংসদে শুরু হচ্ছে মণিপুর হিংসা ইস্যুতে সেই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা। সেখানেই এই প্রস্তাব সমর্থনে প্রথম বক্তা হতে চলেছেন কংগ্রেস(Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। সাংসদ পদ ফিরে পেয়ে লোকসভায় ফিরেই সরাসরি মণিপুর ইস্যুতে মোদিকে আক্রমণে বিঁধবেন রাহুল। এছাড়াও তৃণমূলের তরফে এই প্রস্তাব আলোচনায় বক্তব্য রাখবেন সৌগত রায়(Sougata Roy) এবং কাকলি ঘোষদস্তিদার। আগামী মঙ্গল, বুধ এবং বৃহস্পতিবার লোকসভায় অনাস্থা নিয়ে আলোচনা হবে ৪ ঘণ্টা করে। প্রথমে ১৭ ঘণ্টা সময় দিলেও পরে তা কমিয়ে ১২ ঘণ্টা করা হয়। তারমধ্যে তৃণমূলের(TMC) জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩০ মিনিট সময়।

সূত্রের খবর, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সংসদে আলোচনায় চমক দিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত, সংসদীয় গণতন্ত্রের অবমাননার অভিযোগ থেকে শুরু করে মণিপুর প্রসঙ্গ তুলবে তৃণমূল কংগ্রেস। মণিপুর নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় মণিপুরি ভাষায় বক্তব্য রাখবেন কাকলি ঘোষদস্তিদার। উল্লেখ্য, মণিপুরে সরজমিনে তদন্তে যাওয়া ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন তিনি।
এদিকে সোমবার মণিপুর নিয়ে আলোচনা না হওয়ায় ওয়াকআউট করেন ইন্ডিয়ার সাংসদরা। কংগ্রেসের লোকসভার মুখ্য সচেতক মনিকাম টেগোর বলেন, “মণিপুর নিয়ে আলোচনা না করায়, ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করে। মোদি সরকারের অহংকারী মনোভাব সংসদীয় গণতন্ত্রকে আঘাত করেছে। ১৪০ জন সাংসদের অনুপস্থিতিতেই সরকার বিল পাস করাচ্ছে। লজ্জাহীন একটা সরকার।”

তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, “আমরা মণিপুর গিয়েছিলাম ৭৭তম দিনে। আর ৭৮তম দিনে প্রধানমন্ত্রী মণিপুর নিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হলেন। শুধু মণিপুরই জ্বলছে না, সার্বিকভাবে দেশের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে ,সারাদেশে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধূলিসাৎ করে দিচ্ছে মোদি সরকার। এর আগেও দেশে বিজেপি সরকার ছিল। যদিও এমন অবনতি কোনওদিন হয়নি।” এদিকে সোমবার লোকসভায় মণিপুর নিয়ে ইন্ডিয়া শিবিরের প্রবল বিক্ষোভের মধ্যেই তথ্য সুরক্ষা বিলটি পাশ করিয়ে নিয়েছে মোদি সরকার। এই বিলে দেশের জনগণের গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে বিরোধীদের তরফে। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাপটে লোকসভায় বিলটি পাশ করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অভিযোগ, এই বিলটি পাশ করিয়ে দেশের জনগণের ওপর নজরদারি বাড়ানোর পথ তৈরি করছে মোদি সরকার।

Previous articleমণিপুর-তদন্তে নজিরবিহীন সুপ্রিম কোর্টের! ৩ মহিলা বিচারপতির কমিটি, থাকবে ৪২ টিম
Next articleডুরান্ডের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় মোহনবাগানের, পাঞ্জাবকে হারাল ২-০ গোলে