মহাভারতের ‘নাগকন্যা’কে বাড়ি নিয়ে এলেন সৃজিত!

১৯৭২ সালের ভারতীয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন অনুসারে দেশে সাপ ধরা, মারা বা সাপের শরীরের কোনও অংশের তৈরি জিনিসপত্রকে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। তবে সৃজিত আইন বিরুদ্ধ কাজ করেননি।

শখ বোধহয় একই বলে। অনেকদিন ধরে বাড়িতে প্রিয় পোষ্যকে আনতে চেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক। কিন্তু নানা কারণে সেটা হচ্ছিল না। অবশেষে সুদূর কলম্বিয়া থেকে পাইথন নিয়ে এলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherjee)। সাধ করে নাম রেখেছেন ‘উলুপী’ ( মহাভারতের নাগকন্যা)। কথিত আছে, বনবাসে থাকাকালীন অর্জুনের সঙ্গে উলুপীর (Ulupi) বিবাহ হয়। কিন্তু সাপ পোষা কি আইনসম্মত? পরিচালকের কাণ্ডে প্রশ্ন তুলছেন অনুরাগীরাই।

গত বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে পরিচালক লেখেন, ‘‘উলুপীকে বাড়িতে স্বাগত। আমাদের জীবন চিরকালের জন্য বদলে গেল।’’ এরপরই গুঞ্জন শুরু হয়। তারপরই পাইথনের আগমনের খবর মেলে। সূত্রের খবর, দিন দশেক আগে সৃজিত তাঁর নতুন পোষ্যটিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বন দফতরের থেকে যাবতীয় প্রযোজনীয় অনুমতি নিয়েই বাচ্চা ‘পাইথন’ পুষেছেন পরিচালক। সাপ বাড়িতে রাখার ব্যাপারে দেশের আইন কী বলছে? ১৯৭২ সালের ভারতীয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন অনুসারে দেশে সাপ ধরা, মারা বা সাপের শরীরের কোনও অংশের তৈরি জিনিসপত্রকে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। তবে সৃজিত আইন বিরুদ্ধ কাজ করেননি। তাঁর কাজে বৈধ কাগজ রয়েছে বলে খবর। কিন্তু সাপ পোষার ঝক্কি তো কম নয়, কীভাবে সামলাবেন? সৃজিত বলেন, ‘‘পাইথন খুবই শান্ত প্রাণী। এ আর ঝক্কি কী! তবে আমি অনেক ছোট থেকেই সাপখোপ সামলাতে পারি। আমার কোনও ভয় নেই।” ঘনিষ্ঠরা বলেই ‘ জাতিস্মর ‘ পরিচালক সত্যিই বাবুরাম সাপুড়ে।


Previous articleফের খেলার মাঠে মৃ.ত্যু, ম্যাচের মাঝেই প্রা.ণ হা.রালেন বাংলার টেবল টেনিস খেলোয়াড়ের
Next article“অন্যায় করলে রেয়াত নয়”! প্রতিশ্রুতিমতো পার্থর সঙ্গে সন্দেশখালি পৌঁছেই স্পষ্ট বার্তা সুজিতের