পরপর ফ্লপ শো, চুঁচুড়ার সভাও বাতিল করে দিল্লি ফিরলেন নাড্ডা

তৃতীয় দফা নির্বাচনের প্রাক্কালে সোমবার রাজ্যে ৩ কর্মসূচি ছিল জেপি নাড্ডার। তবে প্রথম দুটি চূড়ান্ত ফ্লপ হওয়ার পর তৃতীয় জনসভার ঝুঁকি না নিয়েই গড়িয়া মোড় থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে গিয়ে সোজা দিল্লির(Delhi) বিমান ধরলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা(JP nadda)। বাতিল করা হলো চুঁচুড়ার পূর্ব নির্ধারিত জনসভা। সব মিলিয়ে সোমবার জেপি নাড্ডাকে নিয়ে রীতিমতো নাকাল হতে হলো রাজ্য বিজেপির(BJP) নেতা কর্মীদের।

বিজেপি তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সোমবার রাজ্যে ৩ কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার। প্রথমটি হওয়ার কথা ছিল সাড়ে ১১টা নাগাদ শ্রীরামপুর স্টেডিয়ামে। যদিও সকাল থেকে অপেক্ষার পর দুপুর ১২ টা পর্যন্ত প্রায় সমস্ত আসন ফাঁকা থাকায় জনসভার ঝুঁকি নেননি নাড্ডা। তবে হাতে গোনা যে সমস্ত মানুষের ভিড় হয়েছিল বিজেপি নেতারা মঞ্চ থেকে তাদের আশ্বস্ত করতে থাকেন দিল্লি থেকে আসতে দেরি হচ্ছে নাড্ডাজির। যদিও রবিবার রাতেই কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছিলেন নাড্ডা। দীর্ঘ অপেক্ষার পরও ভিড় না হওয়ায় শেষমেষ বাতিল করে দেওয়া হয় জনসভা। এরপর দ্বিতীয় কর্মসূচি ছিল টালিগঞ্জ থেকে গড়িয়া মোর পর্যন্ত রোড শো। পূর্বনির্ধারিত সময়সূচী ছিল দুপুর ১টা। তবে ৩টে অব্দি অপেক্ষার পরও সে ভাবে ভীড় হয়নি রোড শোতে। এই রোড শো অবশ্য বাতিল করেননি বিজেপি সভাপতি। ফাঁকা রাস্তায় মুষ্টিমেয় কয়েকজন কর্মী সমর্থক এবং দুই প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় ও পায়েল সরকারকে সঙ্গে নিয়ে রোড শো সারেন তিনি।

আরও পড়ুন:শ্রীরামপুরের ফাঁকা মাঠ এড়িয়ে নির্ধারিত সময়ের দু’ঘণ্টা পর টালিগঞ্জে রোড শো নাড্ডার

এভাবেই পরপর দুটি কর্মসূচি চূড়ান্ত ফ্লপ হওয়ার পর তৃতীয় কর্মসূচির ঝুঁকি নেননি জেপি নাড্ডা। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বিকেল চারটে নাগাদ হুগলীর চুঁচুড়ার চিসুড়া ময়দানে জনসভা করার কথা ছিল তাঁর। তবে সেই জনসভায় যোগ না দিয়ে গড়িয়া মোড় থেকেই কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন জেপি নাড্ডা। বিজেপি সূত্রের খবর, দলের তরফে আশা করা হয়েছিল চুঁচুড়ার জনসভায় হয়তো ভিড় হবে। তবে শ্রীরামপুরের মত চুঁচুড়াতেও ময়দান ছিল পুরোপুরি ফাঁকা। যার ফলে এই জনসভা বাতিল করে দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। যদিও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, কলকাতায় রোড শো দেরি করে শুরু হওয়ার কারণে চুঁচুড়া আসার মত সময় ছিল না নাড্ডাজির। পাশাপাশি দিল্লিতে জরুরি বৈঠক ছিল তাঁর। যার ফলে বাধ্য হয়ে বাতিল করতে হয় এই জনসভা। তবে নির্বাচনের ঠিক আগের দিন বিজেপির হাইভোল্টেজ নেতার জনসভা বাতিল হওয়ার পিছনে এই কারণ অবশ্য ধোপে টিকছে না। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, ‘ফাঁকা ময়দান দেখে মুখ দেখাতে পারছেন না নাড্ডাজি। যার ফলে একের পর এক সভা বাতিল করে দিল্লি ফিরে গিয়েছেন তিনি। বিজেপির ফাঁকা জনসভাই প্রমাণ করে দিচ্ছে বাংলায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আরও একবার ক্ষমতায় আসতে চলেছে তৃণমূল সরকার।’

Advt

Previous article২ জন কোভিড পজিটিভ হলে ৬০টি বাড়ি সিল করবে প্রশাসন, নির্দেশিকা জারি এই রাজ্যে
Next articleজিতলেই ভোটারদের কাতার বিশ্বকাপের টিকিট দেবেন, প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রার্থী