রাজ্যবাসী আর আপনার কথা শুনতে চায় না, চুপ থাকুন: রাজ্যপালকে তোপ বিজেপির

পান থেকে চুন খসলেই যে বিজেপি রাজ্যপালের দ্বারস্থ, তার মুখেই এবার শোনা গেল রাজ্যপাল বিরোধিতা! হাঁসখালি কাণ্ডে এবার সরাসরি জগদীপ ধনকড়কে(Jagdeep Dhankar) নিশানায় নিয়ে রীতিমতো আক্রমণ শানালেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য(Shamik Bhattarcharya)। রাজ্যপালকে(Govornor) নিশানায় নিয়ে এবার তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, “রাজ্যের মানুষ আর আপনার বিবৃতি শুনতে চাইছে না। হয় কিছু করুন, নাহয় চুপ থাকুন।” বিজেপির এহেন উলট পুরাণে স্বাভাবিকভাবেই অবাক রাজ্য রাজনীতি!

সুযোগ পেলে যে কোনও ইস্যুতেই টুইটবার্তা দিয়ে সরব হয়ে ওঠেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। যদিও হাঁসখালি ইস্যুতে শুরুতে তিনি চুপ থাকলেও সোমবার বিকালে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়ে হাঁসখালি নিয়ে নালিশ করেন। এরপরই এই ইস্যুতে টুইট করে মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্টও তলব করেন তিনি। তবে রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি করে বিজেপি মুখপাত্র এদিন বলেন, “শুধু টুইট করে আর কাজ হবে না। কিছু করুন। এবার পদক্ষেপ করার সময় এসে গিয়েছে। রাজ্যপাল বারবার বলছেন, রাজ্যে আইনের শাসন নেই। মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত, রাজ্য সরকার সঠিকভাবে রাজ্য চালাতে পারছে না। এসব শুনে শুনে মানুষ ক্লান্ত। বাংলার মানুষ আর রাজ্যপালের বিবৃতি শুনতে চায় না। টুইট দেখতে চায় না। এবার পদক্ষেপ করুন।” শমীকের সাফ কথা, “রাজ্যপাল সংবিধানের রক্ষাকর্তা। মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করাটা তাঁর কর্তব্য। তাই হয় তিনি পদক্ষেপ করুন, নাহয় চুপ করুন।”

আরও পড়ুন:ধিক্কারজনক ঘটনা: হাঁসখালিতে গিয়ে নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে মন্তব্য মহুয়া মৈত্রের

বিজেপির এহেন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। এপ্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজভবনটা বিজেপির পার্টি অফিস। শমিকবাবু রাজ্যপালকে কী বলেছেন এটা বিজেপির ভিতরকার ব্যাপার। তবে হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে মৃত্যু নিয়ে যেন রাজনীতি না করেন।”

Previous articleশেষবেলায় বালিগঞ্জে বিজেপির বিরুদ্ধে ভুয়ো ভোটের অভিযোগ তৃণমূলের
Next articleদুই কেন্দ্রে নির্বিঘ্নে উপনির্বাচন:  ভালো মার্জিনে জিতবে তৃণমূল, আত্মবিশ্বাসী পার্থ-ফিরহাদ