মাধ্যমিক পরীক্ষা নির্বিঘ্নে আয়োজনের স্বার্থে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়ার কাজের সময়সূচি ও দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) আগাম পরিকল্পনার আর্জি জানাল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় ১৭ ডিসেম্বর রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে এই অনুরোধ জানিয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার ইস্যু, শুনানি ও যাচাই পর্ব আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত চলবে। অন্যদিকে, ২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ২ ফেব্রুয়ারি এবং চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ফলে পরীক্ষা পরিচালনায় যুক্ত আধিকারিক ও শিক্ষকদের উপর একসঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যজুড়ে ২৬৮২টি পরীক্ষা কেন্দ্র ও ভেন্যুতে মোট ১০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮৯৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। প্রতিটি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকেন জেলা স্তরের এক জন অফিসার ইন-চার্জ। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান সাধারণত সেন্টার সেক্রেটারি ও ভেন্যু সুপারভাইজারের ভূমিকা পালন করেন। এ ছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে অতিরিক্ত ভেন্যু সুপারভাইজার হিসেবে শিক্ষক নিয়োগ করা হয় এবং গোটা রাজ্য থেকে প্রায় এক লক্ষ শিক্ষক ইনভিজিলেটর হিসেবে যুক্ত থাকেন। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষক ও আধিকারিকের অনেকেই বর্তমানে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে নিযুক্ত।

এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা চলাকালীন যদি একই সঙ্গে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলতে থাকে, তা হলে পরীক্ষার স্বাভাবিক ব্যবস্থাপনা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে পর্ষদের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই কারণেই ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ এমনভাবে ধাপে ধাপে সাজানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে পরীক্ষা কেন্দ্রের অফিসার ইন-চার্জ, অতিরিক্ত ভেন্যু সুপারভাইজার ও ইনভিজিলেটররা নির্বিঘ্নে তাঁদের পরীক্ষাসংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করতে পারেন। আরও পড়ুন: বর্ষসেরা মহিলা সাংসদের পুরস্কার দোলা সেনকে, দেশ-রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ আপ্লুত তৃণমূল সাংসদের

চিঠিতে পর্ষদ স্পষ্ট করেছে, প্রয়োজনে ওই সময়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি বা বিকল্প ব্যবস্থা করা হলে দেশের অন্যতম বৃহৎ এই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে পর্ষদ জানিয়েছে, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতায় তারা বিশ্বাস করে, সঠিক পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং শিক্ষাব্যবস্থা—উভয়ই নির্বিঘ্নে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

–

–

–

–

–


