তিনি উত্তরবঙ্গে এসেছেন প্রায় এক মাস হয়ে গিয়েছে। ৩০ দিনের সফর শেষে দার্জিলিঙের রাজভবনে বসে প্রায় ৩১ দফা ক্ষোভ-অভিযোগ উগরে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। দীর্ঘ প্রেস কনফারেন্স করলেন। তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল। তার পরেই রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে রাজ্যের নিরপেক্ষ জনতার তরফে কেউ কেউ বিরক্তি প্রকাশ করলেন। কেউ আবার ব্যাঙ্গোক্তি করলেন। কিন্তু, বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যপালের দরাজ প্রশংসা করা হল। তাতেই অনেকে মনে করছেন, রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গে এক মাস ধরে কেন ছিলেন তা এবার আরও স্পষ্ট হয়ে গেল।
রাজ্যপালের প্রেস কনফারেন্সে ছত্রে ছত্রে অভিযোগ। কখনও রাজ্যে উদ্ধত আচরণের প্রবণতা বাড়ছে। সরকারি অফিসার-কর্মীদের মধ্যে রাজনৈতিক আনুগত্য মাত্রাছাড়া বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। পাহাড়ে ফের গোলমালের আশঙ্কাও করেছেন তিনি। জিটিএতে অডিট হয়নি বলেও ফের অভিযোগ করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে রাজ্যে যেন আইনশৃঙ্খলা নেই, গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই, চা, পর্যটন সহ সব নিয়েই আক্ষেপ করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যে বিরোধীদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে রাজ্যপালই অভিযোগ করেছেন। এমনকী, বিরোধীদের মিটিং মিছিল করতে অনুমতি মেলে না বলে জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি চলছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আয়ুস্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা রাজ্য নেয়নি কেন সে কথাও ফের বলেছেন তিনি। রাজ্যে আগামী বিধানসভা ভোট ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করার পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি।
সব মিলিয়ে রাজ্যপাল রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে যে তুলোধোনা করতে চেয়েছেন তা বুঝতে অনেকেরই অসুবিধে হচ্ছে না। ফলে, রাজ্যপাল নির্দিষ্ট কোনও দলের হয়ে এক মাস ধরে প্রচার করেছেন কি না সেই প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ। উল্লেখ্য, তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের অনেক নেতাই রাজ্যপালকে পদ থেকে সরে সরাসরি বিজেপির হয়ে মাঠে নামার অনুরোধ করেছেন।
আরও পড়ুন-প্যাক আপ বিতর্কের পর ফের বেসুরো মদন মিত্র